বাজিতপুর বাসীকে একটি আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন পৌরসভা উপহার দিতে চাই। আমি ২ বারের মেয়র, পৌরসভায় এসেছি ২০১৫ সালে। বিগত সময়ে বিএনপির হাতে ছিল বাজিতপুর পৌরবাসীর দ্বায়িত্ব। যার কারণে বিগত সময়ে পৌর এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি কোথাও। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ভাগিদার হয়ে আমিও আমার পৌরবাসীকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র মুক্ত, ইভটিজিং মুক্ত, মাদক মুক্ত, বাল্য বিবাহ মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত, জঙ্গিবাদ মুক্ত একটি নগরির। বঙ্গবঙ্গুর আদর্শ নিয়ে আমি কাজ করে যাচ্ছি। আগামি ৫ বছরের মধ্যে আমি আমার পৌরসভাকে একটি ডিজিটাল এবং উন্নত পৌরসভায় রূপান্তরিত করব ইনশাআল্লাহ। ১৮৬৯ সালে ৯.৮৪ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বাজিতপুর পৌরসভা। যার জনসংখ্যা ১ লক্ষ ২৬ হাজার। ২০২০-২১ অর্থ বছরে পৌরসভার রাজস্ব আয় ২ কোটি ৪০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৭৬৮ টাকা। এ পৌরসভায় ২ টি বাজার, ২ টি বাসস্ট্যান্ড, ৩ টি কলেজ, ৫ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪ টি মাদ্রাসা, ৪৯ টি মসজিদ, একাধিক মন্দির, ১ টি নার্সিং কলেজ, জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ সহ বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে আসে। বাজিতপুর প্রতি রবিবার সপ্তাহিক হাট বসে। এ ছাড়া বিগত ৫ বছরে ৬৮ কোটি টাকার কাজ হয়েছে পৌর এলাকার উন্নয়নে। দুইটি লিংক রোড ব্যতিত পৌর এলাকার কোন জায়গা কাঁচা নেই এখন আর। বাজিতপুর পৌরসভাকে ২য় শ্রেণী থেকে ১ম শ্রেণীতে উন্নিত করা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। অসহায় দরিদ্র পরিবারের জন্য হোল্ডিং টেক্স মওকুফ করা হয়েছে বাজিতপুর পৌরসভাতে।
বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষন কেন্দ্র, বিনামূল্যে চিকিৎসা কেন্দ্র, বাচ্চাদের জন্য শিশু পার্ক, সৌখিন মানুষদের জন্য ওয়ার্কিং রোড ও লেক গুলোকে পার্কে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। বাজিতপুর পৌরসভাকে ডিজিটাল পৌরসভায় রূপান্তর করায় আমি বদ্ধ পরিকর।
- নিয়মিত পৌর কর ও পানির বীল পরিশোধ করুন, পৌরসভার উন্নয়নে অংশ নিন।
- স্থাপনা নির্মাণে নকশা অনুমোদন গ্রহন করুন, পরিকল্পিত শহর গঠন করুন।
- ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্স গ্রহন করুন, উন্নত শহর গঠন করুন।
- নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলুন, পরিচ্ছন্ন শহরে বসবাস করুন।
- আপনার সুচিন্তিত মতামত প্রদান করুন, ডিজিটাল পৌরসভা গড়তে সহায়তা করুন।
মোঃ আনোয়ার হোসেন আশরাফ
মেয়র
বাজিতপুর পৌরসভা, কিশোরগঞ্জ।